বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি সবচেয়ে দ্রুত ও কার্যকরী ভাবে ত্বক ফর্সা উজ্জ্বল ও দাগ মুক্ত করার অসাধারন কলা ও মুলতানি মাটির ফেসিয়াল। এই ফেসিয়াল ত্বক থেকে সমস্ত ধরনের দাগ ছোপ মুছে দিয়ে ত্বককে খুব দ্রুত স্থায়ীভাবে উজ্জ্বল ও ফর্সা করে তুলবে ।
এই ফেসিয়ালটি আপনারা কিভাবে ভালোভাবে ব্যবহার করবেন এবং কিভাবে এটি ত্বকে কাজ করবে চলুন তা দেখে নিন।
কলা ও মুলতানি মাটির ফেসিয়াল ব্যবহার করে ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা ও উজ্জ্বল করার নিয়মঃ
এই ফেসিয়াল কে ৪টি ধাপে এপ্লাই করতে হবে
সেই চারটি ধাপ হলোঃ
১- ক্লিনজিং
২-স্ক্রাবিং
৩ -ফেসপ্যাক

৪ -আইস ( বরফ ) মাসাজিং
কলা ও মুলতানি মাটির ফেসিয়ালটি এপ্লাই পদ্ধতিঃ
ধাপ ১- ক্লিনজিংঃ
ফেসিয়াল করার প্রথম ধাপ হলো ত্বককে ক্লিন করে নেওয়া । ত্বককে ক্লিন করার জন্য প্রথমে প্রয়োজন একটি পরিষ্কার পাকা কলা ।

পরিষ্কার একটি পাকা কলা নিয়ে দু’ভাগ করে কেটে নেওয়ার পর কলার চামড়া ( খোসা ) ছাড়িয়ে নিব।
এবার কলার চামড়া ( খোসা ) টুকরো টুকরো করে কেটে নিন।
এবার কলার চামড়ার উপর এক চামচ গোলাপজল দিয়ে মুখের উপর ৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন
এইভাবে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করার পর তুলার প্যাড দিয়ে ত্বক আপনার মুখ থেকে ময়লা গুলো টেনে তুলে ফেলবেন ও ত্বক মুছে ফেলুন ।
ধাপ ২ – স্ক্রাবিংঃ
স্ক্রাবিং করার জন্য আমাদের প্রয়োজন কলার চামড়া (খোসা) ।

কলার চামড়ার (খোসা) উপর ১ চামচ চালের গুড়া লাগিয়ে ত্বকের ওপর ৫মিনিট স্ক্রাব করুন ।
৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন ।
ধাপ ৩-ফেসপ্যাকঃ
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
কলার চামড়ার পেস্ট – এক চামচ
ময়দা – এক চামচ
মুলতানি মাটি – এক চামচ
গোলাপ জল – এক চামচ

Milk
কাঁচা তরল দুধ – এক চামচ
মধু – হাফ চামচ
তৈরির ধাপঃ
প্রথমে একটি পাকা কলা নিয়ে এর খোসা নিয়ে খোসাগুলো ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
এরপর একটি পরিষ্কার বাটির মধ্যে এগুলো ঢেলে নিন ।
এরপর সবগুলো উপাদান একসাথে নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নরম পেষ্ট তৈরি করে নিন। নরম পেষ্ট তৈরি হয়ে গেলে প্যাক এপ্লাই করার জন্য উপযুক্ত হয়ে যাবে ।
প্যাকটি তৈরি হয়ে গেলে ব্রাশের সাহায্যে এটি মুখের মধ্যে এপ্লাই করে নিন।

প্যাকটি যদি আপনাদের মুখে লাগানো হয়ে যায় তাহলে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
২০মিনিট পর আপনার আঙ্গুল দিয়ে আস্তে আস্তে করে আপনার মুখ থেকে প্যাকটি তুলে ফেলুন । প্যাকটি তুলার সময় ঘষাঘষি করবেন না।
প্যাকটি তুলে ফেলার পর সুতির কাপড় বা তুলার প্যাড কুসুম গরম পানির মধ্যে ডুবিয়ে আস্তে আস্তে ত্বক মুছে ফেলুন।
এরপর নরমাল পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন ।

ধাপ ৪ – আইস (বরফ) ম্যাসাজিংঃ
ত্বকে আইস (বরফ) ম্যাসাজ করার জন্য প্রথমে একটি কলা টুকরো করে কেটে ব্লেন্ড করে নিন।
ব্লেন্ড করা কলা একটি আইস বারে নিয়ে ফ্রিজের মধ্যে সাত থেকে আট ঘণ্টা রেখে দিন। তাহলে তৈরি হয়ে যাবে আপনার কলা আইস কিউব।
এরপর কলার আইস কিউব নিয়ে ত্বকের মধ্যে এক থেকে দুই মিনিট ম্যাসাজ করুন ।
বরফের টুকরা ত্বকে ম্যাসাজ করার ফলে উত্তেজিত হয়ে যাওয়া ত্বক শান্ত হয়ে যাবে এবং বড় হয়ে যাওয়া লোমকূপ সংকুচিত হয়ে ত্বক টানটান হয়ে যাবে।
নোটঃ
১। গরম পানি ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখবেন পানি যাতে বেশি গরম না হয় । পানি বেশি গরম হলে ত্বকের ক্ষতি হবে। তাই গরম পানি ব্যবহারের আগে হাত দিয়ে দেখে নিবেন।
২। কলার চামড়া যখন ব্লেন্ড করবেন তখন পেষ্ট কালো হবে। পেষ্টের রং নিয়ে কোন চিন্তা করবেন না । প্যাক তৈরি হয়ে গেলে ফেইসপ্যাকটি্র সুন্দর রং চলে আসবে ।
৩। ত্বককে স্থায়ীভাবে ফর্সা ও উজ্জ্বল করার জন্য কলার ও মুলতানি মাটির এই ফেসিয়ালটিকে মাসে ২ বার ব্যবহার করুণ।
আপনার এই ফেসিয়ালটি ব্যবহার করে দেখবেন । ফেসিয়ালটি খুব কার্যকর ফলাফল দিবে।