রূপচর্চার ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই বলে টমেটো দিয়ে রূপচর্চা করার অভ্যাস বহু পুরানো। খাবারে সালাত কিংবা সবজি হিসেবে খাবার সুস্বাদু করতে টমেটোর ব্যক্তিত্বের যেমন অভাব নেই ঠিক তেমনি ত্বক,স্বাস্থ্য,চোখ, চুল, ওজন কমানো থেকে শুরু করে সব দিকে সমানে নজর রয়েছে টমেটোর। টমেটোর মধ্যে থাকা উপাদানগুলো শরীরের সবকিছুর জন্য (ত্বক,স্বাস্থ্য,চোখ, চুল, ওজন কমানো ) উপকারি। তাই আজ আমি আপনা্দের ত্বক,স্বাস্থ্য,চোখ ও চুলের জন্য টমেটোর ৩১ টি উপকারিতা শেয়ার করছি।
সকল উপকারিতাগুলোর মধ্যে হতে সবা্র প্রথমে ত্বকের যত্নে টমেটোর উপকারিতা শেয়ার করছি।
ত্বকের যত্নে টমেটোর উপকারিতাগুলো হলঃ
টমেটোর মধ্যে আছে ভিটামিন এ,সি,জিংক,আয়রন,ক্যালসিয়াম,ম্যাংগানিজ,পটাসিয়াম
ফসফরাস ও সিলিকন ।টমেটোর মধ্যে থাকা এ উপাদান গুলো ত্বকের পরিচর্যায় অসাধারণ
ভূমিকা রাখে । এগুলো ত্বককে গভীর হতে পরিস্কার করার পাশাপাশি ত্বকের নানান সমস্যার
সমাধান দিয়ে থাকে।

১.প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করেঃ
ত্বকের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকারক রশ্মি হচ্ছে আলট্রা ভায়োলেট (ultra-violet rays) রশ্মি যা ইউ ভি রে ( uv ray) নামে পরিচিত ।
ত্বককে এই ইউ ভি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজন সানস্ক্রিনের ।

টমেটোতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডন্ট এজেন্ট যা লাইকোফিন (lycopene) নামে পরিচিত। টমেটো ব্যবহারের ফলে টমেটোর মধ্যে থাকা লাইকোফিন ত্বককে ইউ ভি রশ্মির ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ত্বকে প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করে।
ব্যবহারঃ
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
টমেটো জুস – ২ টেবিল চামচ
বাটার মিল্ক ( দুধের ছানা) – ৪ টেবিল চামচ
তৈরী ও ব্যবহার প্রক্রিয়াঃ
উপাদান দুইটি খুব ভাল করে মিক্স করুন ।

এরপর এই মিশ্রণ্টিকে সম্পূর্ণ মুখে লাগান।
মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
৩০ মিনিট পর মুখ পরিস্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
২. খোলা লোমকোপের (open pores) সংকোচন ও চিকিৎসাঃ
বিভিন্ন গবেষণায় এটা প্রকাশ করেছে টমেটোর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের খোলা লোম কোপের খুব ভাল সংকোচন করে থাকে এবং টমেটোর ব্যবহার খোলা লোম কোপের চিকিৎসায় খুব ভাল কাজ করে।

যদি টমেটোর রস পান করা যায় তাহলে লোমকোপ সংকোচনের জন্য উপকার দিবে। আর যদি টমেটোর রস পান করতে না পারেন তাহলে নিচের রেসিপিটি ত্বকে ব্যবহার করুন।
ত্বকে ব্যবহার করার জন্যঃ
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
টমেটোর রস – ২ টেবিল চামচ
তুলার প্যাড

লেবুর রস/গোলাপজল – ১/২ (আধা) চা চামচ
তৈরী ও ব্যবহার প্রক্রিয়াঃ
উপাদান দুইটি খুব ভাল করে মিশিয়ে নিবেন।
তুলার প্যাডের সাহায্যে মুখে লাগান। মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট
অপেক্ষা করুন।
১৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
নোটঃ
শুষ্ক ও সেনসেটিভ ত্বকে ব্যবহার করার সময় লেবুর রস দিবেন না
। গোলাপজল দিয়ে ব্যবহার করবেন।
শুষ্ক ও সেনসেটিভ ত্বকের বন্ধুরা মুখ ধুয়ার সময় কুসুম গরম
পানির পরিবর্তে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করবেন।
৩.ব্রণ দূর করেঃ
ব্রণের সমস্যা কম-বেশী সবারই আছে । বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বক ও কিশোররা ( টিন এইজার ) এই সমস্যায় বেশী ভোক্তভোগী । মেডিকেল গবেষণায় জানা গেছে টমেটোতে আছে প্রচুর পরিমাণে ব্রণ-বিরোধী উপকারিতা। টমেটোর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ যা অ্যান্টি – ব্যাকটেরিয়াল প্রোপারটি গঠন করে। অ্যান্টি – ব্যাকটেরিয়াল প্রোপারটি ত্বকে ব্রণ –সৃষ্টিকারী জীবাণু ও ত্বকে আক্রমণকারী অন্যান্য জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।

এছাড়াও টমেটোতে থাকা এসিডিক এসিড ত্বকের ব্রণ ও ফুঁসকুড়ির চিকিৎসা করার জন্য এবং ত্বক হতে যন্ত্রণাদায়ক এ সকল সমস্যা দূর করার জন্য খুবই শক্তিশালী। এছাড়াও ভিটামিন সি ত্বকের অতিরিক্ত তৈল শোষণ করে ও নিয়ন্ত্রণ করে। তাই, টমেটোর ব্যবহার ত্বকের ব্রণের চিকিৎসার জন্য খুব উপযোগী।
ব্যবহারঃ
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ

১ টি তাজা পাকা টমেটো
তৈরী ও ব্যবহার প্রক্রিয়াঃ
টমেটোটিকে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার করে বেটে নিন।
এরপর টমেটো বাটা মুখে লাগান। যেখানে ব্রণ আছে সেই জায়গায় হাতের আঙ্গুল দিয়ে হালকা করে ৩ থকে ৫ মিনিট মত ম্যাসাজ করুন।
ম্যাসাজ করার পর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।

৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
এরপর যে কোন ময়শ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
নোটঃ
ভাল ফলাফল পাবার জন্য প্রতিদিন ব্যবহার করুন।
৪.ব্লাকহেডস দূর করেঃ
ত্বকের সৌন্দর্য নষ্টকারী ব্লাকহেডস দূর করতে টমেটোর অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে। টমেটোর ব্যবহারে ত্বকের সমস্ত ব্লাকহেডস বাই বাই জানিয়ে ত্বক হতে পালিয়ে যাবে।
ব্যবহারঃ
ত্বককে উজ্জ্বল ও দীপ্তময় করার জন্য টমেটোর কার্যকরী একটি ফেইসপ্যাক টি আপনাদের
সাথে শেয়ার করছি।
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
পাকা টমেটো – ১ টি

তৈরী ও ব্যবহার প্রক্রিয়াঃ
টমেটোটিকে দুই টুকরা করে কেটে নিন।
একটি টুকরো নিয়ে ত্বকের ব্লাকহেডস প্রভাবিত এলাকার মধ্যে
ম্যাসাজ করুন।
১০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে মুছে নিন।
৫.ত্বকে উজ্জ্বলতা দান করেঃ

ত্বকের উজ্জ্বলতা দান করতে টমেটোর মধ্যে রয়েছে অত্যান্ত কার্যকরী ও অসাধারণ গুণ।
ত্বকের উজ্জ্বলতা দান করা টমেটোর প্রধান গুণ হিসেবে ধরা হয়। টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা ত্বককে উজ্জ্বল ও দীপ্তময় করে তুলার জন্য বিখ্যাত।
ত্বককে উজ্জ্বল ও দীপ্তময় করার জন্য টমেটোর কার্যকরী একটি ফেইসপ্যাক আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
পাকা টমেটো – ২ টি
মুলতানি মাটি – ১/২ (আধা) টেবিল চামচ

টক দই – ১ টেবিল চামচ
লেবুর রস – ১/২ ( আধা) টেবিল চামচ
তৈরী ও ব্যবহার প্রক্রিয়াঃ
ভাগ-১
ধাপঃ
১. ১টি টমেটোকে দুই টুকরা করে কেটে নিন।

২. টমেটোর টুকরায় হলুদ লাগিয়ে সারা মুখে ম্যাসাজ করুন।ম্যাসাজ করার সময় টমেটো চাপ দিয়ে দিয়ে ম্যাসাজ করবেন যেন ভিতরের রস বের হয়ে আসে।
৩. এভাবে ৫ মিনিট ম্যাসাজের পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ভাগ-২
ধাপঃ
১. অন্য টমেটোটিকে পেষ্ট করে নিন। ( শীলনোড়া অথবা ব্লান্ডার যে কোন একটি ব্যবহার করতে পারেন পেষ্ট তৈরী করার জন্য)
২. ১ টি পরিস্কার বাটিতে ১ টেবিল চামচ টমেটো পেষ্ট, মুলতানি মাটি,দই ও লেবুর রস নিয়ে সবগুলো উপাদান একসাথে ভাল করে মেশান।

৩. মিশ্রণটি সারা মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
৪. ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
কিভাবে কাজ করবেঃ
মুলতানি মাটিঃ
মুলতানি মাটি ত্বক হতে অতিরিক্ত তৈল শোষণ করে নেয় ও ত্বকের মৃতকোষ সরিয়ে ত্বককে ভিতর থেকে উজ্জ্ববিত করে তুলে।
দইঃ
দয়ের মধ্যে বিদ্যমান রাইবোফ্লেবিন ত্বকে নতুন কোষের বৃদ্ধি বাড়িয়ে ত্বককে ভিতর থেকে উজ্জ্ববিত করে তুলে।আর দয়ের ভিটামিন বি ৫ মৃত কোষ, কালো দাগ ।বয়সে চাপ, ব্রণের দাগ দূর করে ত্বককে দাগমুক্ত করে তুলে।
লেবুর রসঃ
লেবুতে আছে প্রাকৃতিক ব্লিচিং প্রোপারটি যা ত্বককে ফর্সা করে তুলে।

নোটঃ
সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন।
সকল ধরণের ত্বকের জন্য উপকারী। তবে শুষ্ক ও সেনসেটিভ ত্বকের
বন্ধুরা প্যাকটিতে লেবুর রস ব্যবহার করবেন না।
৬. পক্কতা বিরুধী প্রভাবঃ ( এন্টি-এইজিং এজেন্ট)
ত্বকের জন্য টমেটোর আরেকটি উপকারিতা হচ্ছে টমেটোতে আছে এন্টি এইজিং এজেন্ট (পক্কতা বিরুধী প্রভাব)। বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে এটা প্রমাণিত যে,টমেটো ত্বকের জন্য অক্সিজেন শোষণ করে এবং ত্বকে বয়সের চাপকে প্রতিহত করে।

এছাড়াও টমেটোর মধ্যে থাকা ভিটামিন এ ত্বকে বয়সের চাপ সৃষ্টির জন্য দায়ী ফ্রি-রেডিকেলসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আর জিংক চামড়ায় বয়সের চাপ বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর করে ত্বকের রুক্ষতা ও কোচকানোকে নিরাময় করে ত্বককে করে তুলে আরো বেশী সুন্দর,সুস্থ্য ও তরুণ (younger)।
ব্যবহারঃ
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
পাকা টমেটো -১ টি
তুলার প্যাড
তৈরী ও ব্যবহার প্রক্রিয়াঃ
টমেটোকে সবজি গ্রান্ডার দিয়ে চেঁচে চাকনির সাহায্যে রস বের করে নিন।

টমেটোর রসের মধ্যে তুলার প্যাড ডুবিয়ে চেহারার ৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন।
৫ মিনিট পর পরিস্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৭. মৃতকোষ সরিয়ে ফেলেঃ
আপনাদের ইতিমধ্যেই নিশ্চয় পরিস্কার ধারণা হয়েছে যে টমেটোর ব্যবহার ত্বকের জন্য
কতটা উপকারী। টমেটোর আরো একটি উপকারিতা হচ্ছে এটি আমাদের ত্বকে মরে যাওয়া কোষকে
সরিয়ে ত্বক সুস্থ্য ও তাজা করে তুলে। টমেটোর মধ্যে আছে নিউট্রেশন যা ত্বক হতে
মৃতকোষ সরিয়ে দিতে খুব কার্যকর। ত্বক হতে মৃতকোষ সরে যাওয়ার কারণে সেই জায়গায় নতুন
কোষের জন্ম হয় এবং ত্বককে দেখায় সুস্থ্য ও আকর্ষণীয়।
ব্যবহারঃ
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
পাকা টমেটো -১ টি
অল্প পরিমাণ চিনি
তৈরী ও ব্যবহার প্রক্রিয়াঃ
টমেটোটিকে দুই টুকরা করে কেটে নিন।
একটি টুকরা নিয়ে চিনির মধ্যে ডুবিয়ে সারা মুখে মাজুন (স্ক্রাব করুন)।মাজার সময় টমেটোর টুকরা গুলোকে চেপে চেপে মাজুন যেন ভিতরের রস বের হয়ে আসে।
এভাবে ৩০ মিনিট ম্যাসাজের পর আরো ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন।

১০ মিনিট পর পরিস্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
কিভাবে কাজ করবেঃ
চিনিঃ
চিনির মধ্যে আছে গ্লাইকোলিক এসিড যা ত্বক হতে মৃতকোষ সরিয়ে ত্বককে ফর্সা করে তুলে।
নোটঃ
সপ্তাহে ৪ বার ব্যবহার করতে পারবেন।
৮. রোদে পুড়া দাগ দূর করেঃ
আমাদের ত্বক রোদের সংস্পর্শে এলে রৌদ্র-তাপের ফলে ত্বক পুড়ে যায় এবং রং তামাটে
হয়ে যায়।টমেটোর মধ্যে থাকা উপাদান গুলো রোদে পুড়া ত্বকের বিরুধী হিসেবে কাজ করায়
এটি ত্বকের রোধে পুড়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
ব্যবহারঃ
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
পাকা টমেটো -১ টি
টক দই – ১ টেবিল চামচ

ভিটামিন ই ক্যাপসুল – ১ টি
তৈরী ও ব্যবহার প্রক্রিয়াঃ
বিচি ফেলে দিয়ে টমেটোর খোসা নিয়ে পেষ্ট তৈরী করে ২ টেবিল
চামচ টমেটোর পেষ্ট , দই ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল
পরিস্কার বাটিতে নিন। এবার উপাদান গুলো খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন.
মিশ্রণটি ঠোঁট ও চোখ ব্যতিত সারা মুখে লাগান। এটি লাগিয়ে ১৫
মিনিট অপেক্ষা করুন।
১৫ মিনিট পর পরিস্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
নোটঃ
সপ্তাহে ৩ বার
ব্যবহার করুন।
সব ধরণের ত্বকের জন্য উপকারী । তবে তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকের
বন্ধুরা এটি ব্যবহারের সময় ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করবেন না।
৯. তৈলাক্ত ত্বকের যত্নেঃ
তৈলাক্ত ত্বককে টমেটো শান্তিময় উপকারিতা দিয়ে থাকে।টমেটোর মধ্যে থাকা ভিটামিন
সি ত্বক হতে অতিরিক্ত তৈল শোষণ করে ত্বককে তৈল মুক্ত করে। এছাড়াও এটি তৈলাক্ত ত্বক
ছেড়ে ব্রণকে চলে যেতে বাধ্য করে সর্বোপরি এটি ত্বকের তৈলাক্ততার চিকিৎসা করে এবং
ত্বকের যত্নে কোন ঘাটতি রাখে না।
ব্যবহারঃ
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ

টমেটোর রস -১ টেবিল চামচ
লেবুর রস – ১ টেবিল চামচ
তুলার প্যাড/সুতির কাপড়
তৈরী ও ব্যবহার প্রক্রিয়াঃ
প্রথমে টমেটোর রস ও লেবুর রস একটি বাটিতে নিয়ে ভাল করে
মিশিয়ে নিন।
এরপর তুলার প্যাড/সুতির কাপড় মিশ্রণটিতে ডুবিয়ে ভাল করে
মুখের উপর মাজুন (scrub) । এভাবে
৫-৭ বার মত করুন।
৫-৭ বার মাজার (scrub) পর কুসুম গরম পানিতে তুলা বা সুতির কাপড় ভিজিয়ে মুখ ২-৩ বার মুছে নিন।
কিভাবে কাজ করবেঃ
লেবুঃ
লেবুতে আছে সাইট্রিক এসিড ও ভিটামিন সি যা ত্বক হতে অতিরিক্ত শোষণ করে নিয়ে ত্বককে ভিতর থেকে ফর্সা ও উজ্জ্বল করে তুলে।
নোটঃ
ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে প্রতিদিন ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত
না হলে সপ্তাহে ৪ বার ব্যবহার করায় মানসম্মত ।
বিকল্প ব্যবহারঃ
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ

টমেটোর রস – ১/২ (আধা) কাপ
শষা – অর্ধেক/ ৬-৮ টুকরা
তুলার প্যাড
তৈরী ও ব্যবহার প্রক্রিয়াঃ
প্রথমে টমেটোর রস ও শষা একসাথে ব্লান্ড করে একটি বাটিতে
নিন।
তুলার প্যাডের সাহায্যে মুখে লাগান। লাগিয়ে ২০ মিনিট
অপেক্ষা করুন।
২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন ।
কিভাবে কাজ করবেঃ
শষাঃ
শষার মধ্যে আছে ভিটামিন সি ,এ সহ নানান উপাদান ।

শষার মধ্যে থাকাে সকল উপাদান ত্বক হতে অতিরিক্ত তৈল শোষণ করে ত্বককে ফর্সা করে তুলে।
নোটঃ
প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারবেন।
১০.শুষ্ক ত্বকের যত্নেঃ
শুষ্ক ত্বকের যত্নে টমেটোর জুড়ি নেই। টমেটো খুব ভাল করে শুষ্ক ত্বকে
সৌন্দর্যের যত্ন নিয়ে থাকে ।
ব্যবহারঃ
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
টমেটোর রস -২ টেবিল চামচ

জলপাই তৈল ( olive oil) – ১ টেবিল চামচ
তৈরী ও ব্যবহার প্রক্রিয়াঃ
উপাদান দুইটি একটি পরিস্কার বাটিতে নিয়ে খুব ভাল করে মিশিয়ে
নিন।
এরপর হাত পরিস্কার করে হাতের সাহায্যে সারা মুখে লাগান। এটি
লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
কিভাবে কাজ করবেঃ
জলপাই তৈল ( olive oil)ঃজলপাই
তৈলে আছে ময়শ্চারাইজিং প্রোপারটি যা ত্বককে ভিতর থেকে ময়শ্চারাইজ করে ত্বককে
সুস্থ্য,কোমল ও নমনীয় করে তুলে।
নোটঃ
সপ্তাহে ৩-৪ বার ব্যবহার।
১১. মিশ্র ত্বকের যত্নেঃ
যারা মিশ্র ত্বকের অধিকারী তাদের নিজেদের ত্বকের যত্ন নিয়ে চিন্তা করার কোন
কারণ নেই। কেননা টমেটো কোন পক্ষপাতহীন ভাবেই সমানে সকল ত্বকের যত্ন করে। ত্বকের
যত্নে কোন অবহেলা নেই টমেটোর।
ব্যবহারঃ
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
টমেটোর রস -২ টেবিল চামচ

ত্বকের যত্নে এলোভেরা জেল
অ্যালোভেরা জেল – ২ টবিল চামচ
তৈরী ও ব্যবহার প্রক্রিয়াঃ
উপাদান দুইটি এক সাথে নিয়ে খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন ।
সারা মুখে লাগান। তবে লাগানোর সময় খেয়াল রাখবেন ঠোঁট ও চোখে যেন না লাগে।
এটি লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন ।
২৫ মিনিট পর ঠান্ডা
পানি দিয়ে মুখ দুয়ে ফেলুন।
১২. স্বাভাবিক ত্বকের জন্যঃ
এত সকল ত্বকের যত্ন নিতে টমেটো যেখানে পারদর্শী সেখানে স্বাভাবিক ত্বকের জত্ন
নিবেনা তা তো হয় না। টমেটোর রসের ব্যবহার স্বাভাবিক ত্বকের যত্ন নিয়ে থাকে।
১৩. ত্বককে মসৃণ করে তুলেঃ
ত্বকের মসৃণতা ত্বককে আরো বেশী সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তুলে। আর টমেটোর অন্যতম
উপকারিতা হলো টমেটো ত্বককে মসৃণ করে তুলে । এছাড়াও এটি ত্বককে মসৃণ করার পাশাপাশি
কোমল,নমনীয় ও ফর্সা করে তুলে ।
ব্যবহারঃ
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ

পাকা টমেটো -১ টি
তৈরী ও ব্যবহার প্রক্রিয়াঃ
টমেটোটিকে দুই টুকরা করে কেটে নিয়ে টুকরাগুলো দিয়ে মুখে মাজুন ( scrub ) ।
৫ মিনিট মত মাজার পর আরো ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ দুয়ে ফেলুন ।
১৪. সেলুরারের ( খুপী ) ক্ষতির চিকিৎসা করেঃ
টমেটোতে আছে প্রচুর পরিমাণে নিউট্রেন, লাইকোফিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এ সকল উপাদান ত্বককে আলট্রা-ভায়োলেট রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব হতে রক্ষা করে ও ফ্রি রেডিকেলসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সেলুলারের ক্ষতিকে নিরাময় করে থাকে।
স্বাস্থ্যের জন্য টমেটোর উপকারিতাঃ
শুধুমাত্র ত্বকের জন্য যে টমেটো অসাধারণ গুণ সম্পন্ন তা কিন্তু নয় এটি
স্বাস্থ্য রক্ষায় ও স্বাস্থ্যের বিভিন্ন দিকে বিবেচনায় রেখে স্বাস্থ্যকে
সুস্থ্য,স্বাস্থ্যবান, কর্মঠ ও শক্তিশালী করে তুলে। টমেটো সর্বরোগ নিবারক ঔষধ
হিসেবে কাজ করে। নিম্নে স্বাস্থ্য রক্ষায় টমেটোর উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
১৫.হাড়কে শক্তিশালী ও সুস্থ্য রাখেঃ
সুস্থ্য দেহের জন্য প্রয়োজন সুস্থ্য ও শক্তিশালী হাড়। হাড়ের সঠিক গঠন ব্যতিত শরীর সুস্থ্য ও কর্মকম রাখা অসম্ভব।

আর হাড়কে সঠিকভাবে বৃদ্ধি,গঠন ও সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ক্যালসিয়াম । টমেটোর মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম শরীরের অভ্যন্তরে হাড়কে শক্ত , শক্তিশালী ও সুস্থ্য করে তুলে।
১৬. দাঁতের সুস্থ্যতায়ঃ
হাড়ের মত দাঁতের জন্যও ক্যালসিয়াম খুব বেশী উপকারী । দাঁতের সুস্থ্যতায়
অপরিহার্য উপাদান হিসেবে কাজ করে টমেটোর মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম।এটি দাঁতের, দাঁতের
মাড়ির সুস্থতা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
১৭.আমাদের শরীরে যতটুকু পরিমাণ ভিটামিনের প্রয়োজন তার মধ্যে ২০% ভিটামিন ধারণ
করে টমেটো।টমেটো আমাদের শরীরের সুস্থতার জন্য স্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও
নিউট্রেন্ট । ভিটামিন আমাদের শরীরকে সুস্থ্য রাখে ও নিউট্রেন্ট আমাদের শরীরের
অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
১৮. মাংস পেশীর সুস্থ্যতাঃ
আমাদের শরীরকে চতুর্দিক হতে সুস্থ্য রাখার জন্য সর্বাধিক উপকারিতা রয়েছে
টমেটোর মধ্যে। টমেটোর মধ্যে আছে প্রচুর প্রোটিন যা শরীরের মাংশপেশীকে কার্যকরভাবে
সুস্থ্য করে এবং এটি বিভিন্ন অসুস্থ্য মাংশপেশীর মেরামত করে ও নতুনভাবে মাংশপেশী
তৈরীতে সহযোগীতা করে। এছাড়াও এটি মাংশপেশী সুস্থ্য রাখার জন্য শরীরের বিভিন্ন রোগ
নিরাময় করে থাকে।
১৯. শরীরকে ফ্রি রেডিকেলস হতে রক্ষা করেঃ
ফ্রি রেডিকেলস যেমন ত্বকের জন্য ক্ষতিকর ঠিক তেমনি এটি শরীরের জন্যও ক্ষতিকর।
আমরা সকলে জানি টমেটোতে লাইকোফিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের আধিপত্য আছে যা বৃহদাকারে
ফ্রি-রেডিকেলসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ত্বককে সুস্থ্য করে তুলে জীবনকে করে প্রাণবন্ত।
২০. ক্যান্সারের ঝুকি কমায়ঃ
টমেটোতে যেহেতু ফ্রি-রেডিকেলস বিরুধী এজেন্ট আছে তাই ফ্রি-রেডিকেলসের আক্রমণের
কারণে যে সকল রোগ-ব্যাধি শরীরে তৈরী হয় তার প্রতিরোধ খুব ভালভাবেই করে থাকে টমেটোর
মধ্যে থাকা উপাদান গুলো।এসকল উপাদান শ্বাসযন্ত্র , মলাশয় (colon) ও বুকের ক্যান্সারজনিত সমস্যা শুরু
হওয়ার আগে শরীরে ফ্রি – রেডিকেলস বিরোধী ব্লক তৈরী করে।
২১. স্টোকের ঝুঁকি কমায়ঃ
যে সকল স্ট্রোক উচ্চ রক্তচাপের কারণে হয়ে থাকে টমেটো সেই সকল ঝুঁকিকে কমিয়ে আনে। টমেটোতে আছে মিনারেলস ও নিউট্রেন্ট যা শরীরের উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রেখে স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করে।

অর্থাৎ হার্ট এ্যাটাক, স্ট্রোকের (cardiovascular ) মত রোগ হতে পরিত্রাণ দিয়ে থাকে।
২২.নিম্ন কোলেস্টেরল সম্পন্নঃ
টমেটোর দানার মধ্যে আছে ভিটামিন বি৩ ( Niacin
)। কোলেস্টেরলের উচ্চতাকে নিম্ন রাখার জন্য এটি দারুণ ভাবে কাজ করে।
এছাড়াও টমেটোর দানা ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার সবার কাছে এটি নিম্ন কোলেস্টেরল সম্পন্ন
খাদ্য হিসেবে সমাদৃত।
২৩. অ্যান্টি-ইনপ্লেমেটরি প্রাচুর্যতাঃ
হাড়ের ক্ষয় , হার্ট এ্যাটাক,স্ট্রোক সহ শরীরের নানান জটিল রোগ সৃষ্টির জন্য
দায়ী ফ্রি-রেডিকেলস। এ সকল রোগের পাশাপাশি ফ্রি রেডিকেলস শরীরের জ্বালা বা প্রদাহ
বৃদ্ধির জন্যও দায়ী। অর্থাৎ এটি শরীরের জ্বালা ( Inflamation) বৃদ্ধি করে। টমেটোর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনপ্লেমেটরি
পাওয়ার অর্থাৎ জ্বালা-বিরুধী ক্ষমতা যা শরীরের জ্বালা নিবারণ করে এবং
ফ্রি-রেডিকেলসকে দূর করার উপাদান বিদ্যমান রয়েছে টমেটোতে।
২৪.অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে আনেঃ
শরীরের ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে শরীরে বাসা বাধে নানান ধরণের রোগ ব্যাধি। তাই শরীরকে সুস্থ্য ও কর্মঠ রাখতে প্রয়োজন অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখা। শরীরকে সুস্থ্য ও সুন্দর রাখতে টমেটোর যেমন অতুলনীয় গুণাগুণ রয়েছে ঠিক তেমনি শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে টমেটোর অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে।

প্রতিদিন সকালে একটি করে টমেটো খেলে অথবা ১ গ্লাস টমেটোর জুস আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজনকে কমিয়ে আপনাকে করে তুলবে ছিমছাম , পাতলা,সুন্দর ও আকর্ষণীয় শরীরের অধিকারী।
ব্যব্যহারঃ
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
পাকা টমেটো – ১টি
গুড় – ১/২ টেবিল চামচ
লবণ- ১ চিমটি
কিভাবে তৈরী করবেনঃ

১.টমেটোটিকে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিন।
২. এরপর একটি পাত্রে দেড় ( One & half
) গ্লাস পানি দিয়ে সিদ্ধ
করুন।
৩. পানি সিদ্ধ হয়ে এলে এর মধ্যে টুকরা করা টমেটো, গুড় ও লবণ দিয়ে ৫-৭ মিনিট মত সিদ্ধ হতে দিন।
৪. এরপর পাত্রটিকে নামিয়ে রাখুন।
৫. প্রতিদিন সকালে নাস্তা করার আগে ও রাতে খাবারের পর এই পাণীয়টি পান করুন।
৬. পাণীয়টি কুসুম গরম থাকতে পান করবেন।
চোখের জন্য টমেটোর উপকারিতাঃ
চোখ আমাদের এমন একটি অংঙ্গ এ অংঙ্গটি ছাড়া সারা পৃথিবী অন্ধকারময়।চোখের যত্নের
অবহেলা আপনাকে ঠেলে দিতে পারে অন্ধত্বে। চোখের যত্নের অবহেলা না করে আজকেই শুরু
করে দিন চোখের সঠিক যত্ন।
২৫. দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করেঃ
আমরা সকলেই জানি ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টির জন্য খুব উপকারী একটি ভিটামিন।টমেটোর
ধারণকৃত ভিটামিন এ দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে
অত্যান্ত পারদর্শী।
২৬. চোখের স্বাস্থ্য সুস্থ্য রাখেঃ
চোখ আমাদের এমন একটি অঙ্গ যেটির স্বাস্থ্য ও সুস্থেতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা না
রাখলে হতে পারে অন্ধত্বের মত কঠিন রোগের সম্মোখিন। টমেটোর মধ্যে থাকা ভিটামিন এ
চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াবার পাশাপাশি চোখের স্বাস্থ্য ও ভাল রাখে ।
২৭.চোখের রোগ প্রতিরোখ করেঃ
সঠিক যত্নের ও বিভিন্ন ভিটামিনের অভাবে রাতকানা,চোখ ওঠা সহ বিভিন্ন ধরণের রোগে
আক্রান্ত হয় চোখ। আর টমেটোর মধ্যে থাকা ভিটামিন এ থায়ামাইন ( thiamine ) নিয়াসিন
(niacin) ফুলিটস ( folates) ও ফ্ল্যাভোন্যেড নি কমপ্লেক্স ( flavonoid
B complex ) চোখের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
চুলের জন্য টমেটোর উপকারিতাঃ

চুলের প্রসাধনী হিসেবে টমেটোর ব্যবহার আশ্চর্যজনক ভাবে ফলাফল প্রদান
করে।টমেটোর মধ্যে থাকা উপাদান গুলো চুলের বৃদ্ধিকে দ্রুত করতে ও চুলের স্বাস্থ্য
রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ যে সকল ভূমিকা রাখে তা হলঃ-
২৮. চুলের রং ধরে রাখেঃচুলের জন্য টমেটোর অন্যত্ম উপকারিতা হল টমেটোর মধ্যে
থাকা নিউট্রেন্ট চুলের রং ধরে রাখতে সহায়তা করে।
ব্যবহারঃ
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
পাকা টমেটো -১ টি

কি করবেনঃ
১. টমেটোটিকে টুকরা করে কেটে ব্লান্ড করে চাকনি দিয়ে ছেঁকে রস বের করে নিন।
২. টমেটোর রস চুলের মধ্যে লাগান ।এটি লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন.
৩. ৩০ মিনিট পর হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে
চুল ধুয়ে ফেলুন।
নোটঃ ভাল ফলাফল পাতে সপ্তাহে ৩-৪ বার ব্যব্যহার করুন।
২৯. প্রাকৃতিক কন্ডিশনারঃ
টমেটোকে বলা হয় প্রাকৃতিক কন্ডিশনার। টমেটোর মধ্যে থাকা উপাদান গুলো চূলকে প্রাকৃতিকভাবে কন্ডিশন করে থাকে।
৩০. চুল পড়া প্রতিরোধ করেঃ
চুল পড়ার সমস্যা আমাদের সকলকে ক্লান্ত করে তুলেছে। টমেটোর মধ্যে থাকা ভিটামিন এ চুলকে শক্তিশালী করে তুলতে খুব ভাল কাজ করে।

এটি চুলকে শক্তিশালী করে তুলে চুল পড়া প্রতিরোধ করে ।
ব্যবহারঃ
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
পাকা টমেটো -১ টি
কিভাবে ব্যবহার করবেনঃ
১. টমেটোটিকে পেষ্ট করে নিন। ভিতরের মজ্জা ( pulp) সহ পেষ্ট করবেন.
২. পেষ্ট মাথার তালুতে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
৩. ২০ মিনিট পর হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে চুল শুকিয়ে নিন।
নোটঃ
সপ্তাহে ৩ বার ব্যবহার করুন।
৩১.খুশকি মুক্ত করেঃ
খুশকি এবং অনাকাঙ্কিত মাথার চুলকানি মাথার তালুকে অতিষ্ট করে তুলে।এছাড়া খুশকি ও চুলকানি থাকলে মাথার তালুতে অন্যান্য রোগ ব্যাধি বাসা বাধে।

অতিরিক্ত ও বিরক্তিকর খুশকি থেকে নিজেকে মুক্ত করতে টমেটোর ব্যবহার শুরু করুন।টমেটোর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন বৃদ্ধিতে সহায়তার পাশাপাশি খুশকিকে চিরতরে দূর করে।
ব্যবহারঃ
প্রয়োজনীয় উপাদানঃ
পাকা টমেটো -১ টি
লেবুর রস – ২ টেবিল চামচ
কিভাবে ব্যবহার করবেনঃ
১. পাকা টমেটোর ভিতরের নরম অংশ ২ টেবিল চামচ পরিমাণ একটি বাটিতে রাখুন।
২. এর মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে মাথার তালুতে লাগান এবং আঙ্গুলের আগা দিয়ে দিয়ে
১০ মিনিট মত মাজুন ( Massage)।
৩.
এরপর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ৩০ মিনিট পর নরমাল পানি দিয়ে চুলে ধুয়ে শুকিয়ে নিন।
নোটঃ
সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করতে পারবেন।
লেবুর রসঃ
টমেটোর মতই লেবুর রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা খুশকি দূর করে মাথার তালুকে (Scalp) খুশকিমুক্ত করে তুলবে।

সর্বগুণের অধীকারী হওয়া টমেটোর জনপ্রিয়তার কমতি না থাকায় সারা বিশ্বে টমেটোর ব্যবহার সমানে করা
হয়।রূপচর্চায়,খাদ্যে,চুলের যত্নে কিংবা স্বাস্থ্য রক্ষায় টমেটোর গুণাবলীকে এককথায়
বলা যেতে পারে অসাধারণ।