গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থা একটি পরিবর্তনের সময়, যেখানে মায়ের শরীরে নতুন জীবনের বিকাশ ঘটে। এই সময়কালে, মায়ের যথাযথ পুষ্টি গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শিশুর সুস্থ বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা করে।

মাদার হরলিক্স হলো একটি জনপ্রিয় পুষ্টিসমৃদ্ধ পানীয় যা দুধ, গম, বাদাম, ফলের রস এবং খনিজ পদার্থ দিয়ে তৈরি। এটি গর্ভবতী মায়েদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে এবং এতে থাকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মা ও শিশুর জন্য বেশ কিছু উপকারিতা প্রদান করে।

গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খাওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা:

  • গর্ভাবস্থার অসুস্থতা কমায়: মাদার হরলিক্সে থাকা ভিটামিন বি ৬ গর্ভাবস্থার অসুস্থতা যেমন বমি বমি ভাব, বমি এবং মাথা ঘোরা কমাতে সাহায্য করে।
  • হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে: মাদার হরলিক্সে থাকা ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি গর্ভবতী মায়েদের হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং শিশুর হাড়ের সুস্থ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে: মাদার হরলিক্সে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, যা গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে পারে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: মাদার হরলিক্সে থাকা ভিটামিন এ, সি এবং ই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
  • শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে: মাদার হরলিক্সে থাকা ফোলিক অ্যাসিড শিশুর মস্তিষ্কের ন tabung neural নালী ত্রুটি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  • চুল ও ত্বকের যত্ন নেয়: মাদার হরলিক্সে থাকা ভিটামিন বি এবং জিঙ্ক চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
  • শক্তি ও সতেজতা বৃদ্ধি করে: মাদার হরলিক্সে থাকা কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন শক্তি ও সতেজতা বৃদ্ধি করে।

মাদার হরলিক্স খাওয়ার নিয়ম:

  • প্রতিদিন সকালে বা রাতে এক কাপ গরম দুধে ২-৩ চা চামচ মাদার হরলিক্স মিশিয়ে খান।
  • আপনি চাইলে এটি ফলের টুকরো, বাদাম বা চকোলেট চিপস দিয়ে আরও সুস্বাদু করে তুলতে পারেন।
  • অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

কত মাস থেকে মাদার হরলিক্স প্লাস খাওয়া যাবে?

১ গর্ভাবস্থায়:

  • অনেক ডাক্তারই ৪র্থ মাস থেকে মাদার হরলিক্স প্লাস খাওয়ার পরামর্শ দেন।
  • তবে, প্রতিটি গর্ভাবস্থা আলাদা এবং কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই।
  • আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে আপনার জন্য উপযুক্ত সময় নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

২ স্তন্যদানের সময়:

  • শিশুর জন্মের পর থেকেই মাদার হরলিক্স প্লাস খাওয়া শুরু করা যেতে পারে।
  • এটি স্তন্যদানকারী মায়েদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে সাহায্য করে এবং শিশুর সুস্থ বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।

মাদার হরলিক্স 500 গ্রামের দাম বাংলাদেশে:

মাদার হরলিক্স 500 গ্রামের দাম ব্র্যান্ড, স্বাদ এবং কেনার স্থান অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে।

কিছু অনুমানিত দাম:

মাদার হরলিক্স ক্লাসিক 500 গ্রাম:

  • অনলাইন: ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা
  • স্থানীয় দোকান: ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা

মাদার হরলিক্স চকো 500 গ্রাম:

  • অনলাইন: ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা
  • স্থানীয় দোকান: ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা

মাদার হরলিক্স 350 গ্রাম দাম বাংলাদেশে

মাদার হরলিক্স 350 গ্রামের দাম ব্র্যান্ড, স্বাদ এবং কেনার স্থান অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে।

কিছু অনুমানিত দাম:

মাদার হরলিক্স ক্লাসিক 350 গ্রাম:

  • অনলাইন: ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা
  • স্থানীয় দোকান: 280 টাকা থেকে 330 টাকা

মাদার হরলিক্স প্লাস 350 গ্রাম:

  • অনলাইন: 300 টাকা থেকে 350 টাকা
  • স্থানীয় দোকান: 330 টাকা থেকে 380 টাকা

কিছু জনপ্রিয় অনলাইন শপিং সাইট যেখানে আপনি মাদার হরলিক্স কিনতে পারেন: