দুধ চা পান করার ৬ টি ক্ষতিকর দিক

আমরা যারা বিভিন্ন কাজ কর্মের সাথে জড়িত হোক সেটা কায়িক, মানসিক। একটানা কিছুক্ষন কাজ করার পর শরীর ক্লান্ত হয়ে পরে, গা ঝিম ঝিম করে কাজে মন বসেনা। ঠিক সে সময় মন কে চাঙ্গা করতে আমরা পানির পরিবর্তা যা খায় তা হলো চা। আর চা টা যদি দুধ চা হয় তাহোলে তো আর কথায় নেই। চা পান করলেই যেন শরীর আর মনেট তৃষ্ণা মেটে। তবে এই দুধ চায়ের ক্ষতিকর দিক রয়েছে। চায়ের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও অন্যান্য যৌগ। তবে যখন চায়ে দুধ মেশানো হয় তখন এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তবে শুধু চা পান করলে দাঁতে ক্ষয়, রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে বাধা পায়। কিন্তু চায়ে দুধ মেশালে হিতে বিপরীত হয়ে যায়। চা অনেক ধরণের হয় যেমনঃ ব্ল্যাক চা, দুধ চা, আদা চা, মশলা চা, লেবু চা, দুধ বেশি চিনি ছাড়া চা, মালাই চা ইত্যাদি। প্রত্যেকটি চা কে আলাদা আলাদা ভাবে পরিবেশন করা হয় এবং প্রত্যেকটির চায়ের রয়েছে আলাদা আলাদা গুণ। 

তবে এবার আমরা জেনে নিন বহুল প্রচলিত দুধ চায়ের কিছু অপকারিতা দিক।

১।চা পানীয় হিসেবে স্বাস্থ্যকর। তবে আমরা এই চা তে যখন দুধ আর চিনি মেশাই তখন এর গুণাগুণ মান পরিবর্তন হয়ে যায়। এটি পাশাপাশি

চা কে আরো এসিডিক করে তোলে। আর অতিরিক্ত দুধ চা পানে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা

রয়েছে। 

২।চা খেলে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। যেমন কি শুধু চা অর্থাৎ ব্ল্যাক চাতে ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অন্যান্য যৌগ থাকে। এতে যখন আমরা দুধ চিনি দিই তখন এতে পুষ্টিগুণ তো থাকেইনা বরং এতে প্রোটিনের আরো ঘাটতি দেখা দেয়।

৩।আমরা মনে করি চা খেলে স্ট্রেয করে। তাই অনেকেই প্রত্যেকদিন কয়েকবার করে দুধ চা খায় এতে তাদের রাতে ঘুম কম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ঘুম কম হলে অনিদ্রার সমস্যা হয়। আর যাদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে অনিদ্রা থাকা মোটেও উচিত না। অনিদ্রা থেকে ব্রণের সমস্যা বেড়ে যায়। আর অনিদ্রা হলে দুশ্চিন্তা ও স্ট্রেস বেড়ে যায়।

৪।যারা দিনে একদম হিসেবছাড়া চা খাই তাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। কোষ্টকাঠিন্যের কারণে পেট ফেঁপে যায়, ভালোভাবে পায়খানা হয় না আর এতে গ্যাস এর সমস্যা বেড়ে যায়। এত করে শরীরে এক প্রকার অস্বস্তি দেখা দেয়। যার ফলে কোনো কাজে মন বসেনা।

৫।দুধ চায়ে রক্তচাপ উঠানামা করে। আর যারা ব্লাড সুগারের রোগী তাদের তো মোটেও দুধ চা খাওয়ার দরকার নেই। এতে সুগারের মাত্রা বেড়ে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অর্থাৎ যারা ডায়াবেটিস এর রোগী তাদের মোটেও উচিত না চা খাওয়ার এতে সুগার বেড়ে গিয়ে আরো রোগের বাসা বাঁধতে পারে।

৬।অনেকেই বলে থাকেন চা খেলে গায়ের রং

কালো হয়ে যায়। অর্থাৎ আমাদের ত্বকে একটা কালসিটে ভাব চলে আসে। আমরা যে ব্ল্যাক লিকারের

পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ চা তে দুধ দি তখন এতে থাকা গুণাগুণ অক্ষুন্ন হয়ে যায়। এবং এতে ত্বকের

ক্ষতি হয়ে যায়।

অর্থাৎ উপরোক্ত তথ্য থেকে জানা যায়, দুধ চায়ের উপকারিতা থেকে অপকারিতার দিক বেশি। এতে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যারা নিয়মমাফিক দিনে কয়েকবার করে চা খান তাদের উচিত চা পরিহার করার।