গর্ভাবস্থা নারীর জীবনে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। নতুন জীবনের স্পন্দন অনুভব করার সাথে সাথে শরীরেও আসে নানা রকম পরিবর্তন। এই সময় সুস্থ থাকা এবং সঠিক পুষ্টি গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এ ব্যাপারে শসা হতে পারে আপনার একজন বিশ্বস্ত সঙ্গী।
গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়ার উপকারিতা
- হাইড্রেশন: শসার ৯৬% পানি। গর্ভাবস্থায় শরীরের অতিরিক্ত তাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ডিহাইড্রেশন রোধ করতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা জরুরি। শসা খেলে শরীর সহজেই হাইড্রেটেড থাকে।
- মর্নিং সিকনেস কমায়: শসার অ্যান্টি-ইমেটিক গুণাবেগ মর্নিং সিকনেসের বমি বমি ভাব ও বমি কমাতে সাহায্য করে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে: শসায় থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ গর্ভাবস্থায় বিপজ্জনক হতে পারে।
- হার্টবার্ন ও অ্যাসিডিটি প্রতিরোধ: শসার ঠান্ডা ভাব পেটের জ্বালা ও অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে।
- ত্বকের যত্ন: শসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং টানটান রাখতে সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: শসায় থাকা ভিটামিন এ, সি এবং ই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সর্দি-কাশি, জ্বরের মতো অসুখ থেকে দূরে রাখে।
- শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা: শসায় থাকা ফোলেট শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কীভাবে খাবেন:
- তাজা শসা টুকরো করে খেতে পারেন।
- সালাদে শসা ব্যবহার করতে পারেন।
- শসার শরবত তৈরি করে পান করতে পারেন।
- ফ্রুট স্যালাডে শসা মিশিয়ে খেতে পারেন।
নোট:
- যাদের অ্যালার্জি আছে তারা শসা খাওয়ার আগে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
- খুব বেশি পরিমাণে শসা খেলে পেট খারাপ হতে পারে।
পরিশেষে, গর্ভাবস্থায় নিয়মিত শসা খাওয়ার ফলে মা ও শিশুর সুস্থতা বজায় থাকে। তাই স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকায় শসা আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন।