ওজন? ওজন কামাবেন না বাড়াবেন?

ওজন কমানোর উপায়

ওজন!  

ওজন শব্দটা আমাদের সবার জন্য অনেকটা আতঙ্কের মতো ।  এর কারণ হচ্ছে বেশিরভাগ সময় যখন ওজনের কথা আসে তখন বাড়তি ওজনেরই কথা আসে এবং অনেকের শরীরে অনেক বেশি ওজন বেড়ে যাওয়ার ফলে অনেক ধরনের রোগ দেখা দেওয়ার কারণে অনেকেই এই ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকে , কিভাবে ওজন কমানো যায় । 

আসলেই কি সব সময় ওজন কমানো উচিত ?

না ওজন নিয়ন্ত্রণের রাখা উচিত?

 না ওজন বাড়াতে হবে ? 

এই সমস্ত প্রশ্নগুলো আমরা কখনোই কি নিজেদেরকে করি ?

আমাদের অসাবধানতার কারণে বা আমাদের না জানার কারণে শরীরে একটু স্থূলতা দেখা দিলেই আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি এবং কোন সঠিক পদ্ধতি না জেনে অর্থাৎ কিভাবে ওজন কমালে শরীরের উপর খারাপ প্রতিক্রিয়া হবে না সেই উপায় না জেনে খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমানোর চেষ্টা করি ।  

শরীরের ওজন যখন বৃদ্ধি পায় তখন অবশ্যই সেটা কমাতে হবে কিন্তু যদি শরীরে ওজন বৃদ্ধি নাই পাই তাহলে কেন কমাবেন ?

আগে থেকেই আপনার ওজন কম ছিল এখন যেটা আপনার বয়সের উপর নির্ভর করে বৃদ্ধি পেয়েছে সেটাকেই আপনি বাড়তি ওজন বলছেন না তো ? 

আর এই সঠিক ওজনটি কমানোর জন্যই আপনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন এমনটি কি হচ্ছে আপনার সাথে ?

এতক্ষণে নিশ্চয়ই এতগুলো প্রশ্ন শুনে মনের মধ্যে ওজন নিয়ে অনেকটাই কনফিউশন তৈরি হয়েছে।  

আজকে ওজন নিয়ে বিভিন্ন ডায়েটিসিয়ানদের মতামত সহ ভিবিন্ন ওজন বিষয়ক কিছু তথ্য শেয়ার করব যা ওজন নিয়ে আপনাদের কনফিউশন পুরুপুরি দূর করে দিবে । 

চলুন ওজনের গভীরে যাওয়া যাক । 

আপনি ওজন বাড়াবেন না কমাবেন সেটা নির্ভর করে আপনার বয়স এবং উচ্চতার সাথে আপনার ওজন এখন কতটুকু রয়েছে সেটির উপরে  । 

একজন ব্যক্তির ওজন কতটুকু হওয়া দরকার তা নিরধারণের মাত্রা রয়েছে যাকে BMI অর্থাৎ বডি মাস ইনডেক্স বলে । 

আমাদের দেহের ওজন কত হওয়া উচিত তা আমাদের ওজন ও উচ্চতাকে ব্যবহার করে এই মাত্রা নির্ধারিত হয়। 

এই মাত্রা নির্ধারণের জন্য একজন ব্যক্তির ওজনকে(কিলোগ্রাম) উচ্চতার(মিটার) বর্গফল দিয়ে ভাগ করা হয়। এই ভাগফলকেই বলে BMI  । 

 BMI ১৮ নিচে হলে কম ওজন , ১৮ থেকে ২৪-এর মধ্যে হলে স্বাভাবিক ওজন; ২৫ থেকে ৩০-এর মধ্যে হলে স্বাস্থ্যবান বা অল্প মোটা; ৩০ থেকে ৩৫-এর মধ্যে হলে বেশি মোটা; আর ৩৫-এর ওপরে হলে অত্যন্ত মোটা বলা যেতে পারে।

তার মানে আপনার বর্তমান ওজন যতই হোক না কেন BMI ১৮ থেকে ২৪-এর মধ্যে হলে আপনার ওজন স্বাভাবিক ওজন ।  

এবার নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পেরেছেন ঘরে বসে আপনি আপনার  BMI নির্ধারণ করে কিভাবে নিশ্চিত হতে পারবেন আপনার ওজন বাড়ানো বা কমানো উচিত কিনা । 

বিএমআই নির্ধারণের পর আপনারা যখন ওজন বাড়াতে বা কমাতে যাবেন তখন আপনারা অবশ্যই আপনাদের ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন । এর কারণ হচ্ছে আমাদের সবার বডি কন্ডিশন এক রকম নয় । তাই হয়তো হঠাৎ করে ওজনকমাতে বা বাড়াতে গেলে শরীরে প্রবলেম দেখা দিতে পারে তাই অবশ্যই আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ নিবে । 

আশা করি ওজন নিয়ে আপনাদের কনফিউশন দূর হয়ে গেছে ।