জ্বর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার একটি লক্ষণ যা বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তবে, উচ্চ জ্বর অস্বস্তিকর এবং ক্ষতিকর হতে পারে।
জ্বর কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায়:
১. পর্যাপ্ত বিশ্রাম:
জ্বরের সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় করতে সাহায্য করবে।
২. পানিশূন্যতা রোধ:
জ্বরের সময় শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বেরিয়ে যায়। তাই, পানিশূন্যতা রোধ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি, তরল খাবার, এবং ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয় পান করুন।
৩. শীতল স্নান:
হালকা গরম পানিতে গোসল করা জ্বর কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে, ঠান্ডা পানিতে গোসল করা উচিত নয় কারণ এটি শরীরের কাঁপুনি হতে পারে এবং জ্বর আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
৪. মাথায় পানিপট্টি:
মাথায় ঠান্ডা পানি লাগানো জ্বর কমাতে সাহায্য করতে পারে। ঠান্ডা পানিতে ভেজা একটি কাপড় মাথায় রাখুন অথবা মাথায় পানিপট্টি দিতে পারেন।
৫. তুলসী পাতা:
তুলসী পাতার রস জ্বর কমাতে সাহায্য করে। তুলসী পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
৬. আদা:
আদা জ্বর কমাতে সাহায্য করে। আদা চা, আদা-রস, অথবা আদা-মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
৭. লেবু:
লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং জ্বর কমাতে সাহায্য করে। লেবুর রস পানি মিশিয়ে খেতে পারেন।
৮. পেঁয়াজ:
পেঁয়াজের রস জ্বর কমাতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
৯. ডাবের পানি:
ডাবের পানি ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ, যা পানিশূন্যতা রোধ করতে এবং জ্বর কমাতে সাহায্য করে।
১০. হালকা খাবার:
জ্বরের সময় হজমশক্তি কম থাকে। তাই, হালকা খাবার খাওয়া উচিত।
উল্লেখ্য:
যদি জ্বর ১০৩° ফারেনহাইটের বেশি হয়, অথবা জ্বরের সাথে অন্যান্য তীব্র লক্ষণ যেমন তীব্র মাথাব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, ইত্যাদি দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।